স্বাস্থ্য পরীক্ষা- কেন ও কোথায় করাবেন?

2
511

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান, সুস্থ্য থাকুন!

বিশাল জনসংখ্যার কারণে বাংলাদেশ দ্বিগুণ রোগের মুখোমুখি হয়; অসংক্রামক রোগ: ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, দীর্শ্বাঘমেয়াদী শ্বসনতন্ত্রের রোগ, ক্যান্সার এবং সংক্রামক রোগ: যক্ষ্মা, এইচআইভি, ধনুষ্টংকার, ম্যালেরিয়া, হাম, রুবেলা, কুষ্ঠব্যাধি ইত্যাদি বিভিন্ন রোগে প্রতিনিয়ত মানুষের রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বা ‍ঝুঁকি বেড়েই চলেছে দিন দিন। [তথ্য সূত্র]

“BBC News বাংলা” এর একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ মারা যায় হৃদরোগ ও স্ট্রোকের কারণে। প্রশ্ন আসে – একজন মানুষের কোন সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা কীভাবে অনুমান করা সম্ভব। আপাতদৃষ্টিতে এই প্রশ্নের উত্তরটা সহজ – নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করলেই মানুষের স্বাস্থ্যের সামগ্রিক চিত্রের একটি ধারণা পাওয়া সম্ভব। কিন্তু কোন সময় ঠিক কোন পরীক্ষাটি করা উচিত? সেটি কীভাবে নির্ণয় করা সম্ভব?

একটি জরিপে বলা হয়েছে, এক বছরের ব্যবধানে দেশে ব্রেন স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত মৃত্যু দ্বিগুণ হয়ে গেছে। পাশাপাশি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুও। [NewsBangla24]

শুনে আশ্চর্য হবেন, বাংলাদেশে বছরে দেড় লাখ মানুষ আক্রান্ত হয় ক্যান্সারে। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) রিপোর্ট অনুযায়ী, বছরে এক লাখ আট হাজার ক্যান্সার আক্রান্ত মৃত্যুবরণ করেন। এদের বেশির ভাগই যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে অথবা অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা খপ্পরে পড়ে মারা যান। আবার শেষপর্যায়ে এসে ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার কারণে কোনো চিকিৎসা কাজ করে না, এমন মানুষ আছে যাদের শেষ পরিণতি মৃত্যু। [তথ্য সূত্র] তাই, আপনি নিয়মিত প্রয়োজনীয় বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিক্ষা সমূহ করিয়ে নিন। অজান্তে ও অনাকাঙ্খিত কোন রোগ হতে মুক্ত থাকুন। আর কোন রোগে আক্রান্ত হলে অনর্থক আশাহত না হয়ে এখনই সঠিক চিকিৎসা গ্রহন করুন।

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন! আজ দেশের স্বাস্থ্য খাত রয়েছে বিরাট এক আস্থার সংকটে [প্রথম আলো]। সাধারণ মানুষ আজ অসহায়! তাদের একদিকে যেমন দিনে দিনে অসূখ বেড়েই চলেছে, তেমনি সে অসূখের চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ভিন্নদিকে বিভিন্ন হাসপাতাল/ক্লিনিক গুলোতেও শিকার হচ্চে হয়রাণীর! এ হয়রাণী হতে মুক্তি দিয়ে সঠিক ও সুচিকিৎসা প্রদানের জন্য প্রায় অর্ধশত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতি ও প্রয়োজনীয় MRI, CTScan সহ প্রায় সব ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুব্যবস্থা করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের পদ্মা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার , হাসপাতাল রোড, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

অত্যাধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা সেবার অঙ্গিকার নিয়ে প্রতিষ্ঠিত পদ্মা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ২০১৫ সাল হতে আজ অবধি হাজার হাজার জন-মানুষের সেবা দিয়ে তাই একটি আস্থার প্রতিক হিসেবে পরিনত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ চায়, জন-মানুষের সুপরামর্শ নিয়ে সেবার রাস্তায় আরও অনেক অনেক দূর ও অনন্ত পথ চলতে। তাই আপনারা আসুন- আপনার, আপনার পরিবার/আত্মীয় স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবদের সুচিকিৎসা গ্রহনে পদ্মা ক্লিনিকের স্মরণাপন্ন হউন। আপনার সেবা দানেই আমাদের পরিতৃপ্তী!

2 COMMENTS

  1. ধন্যবাদ, তথ্যসূত্র সহ বেশ ভাল লিখনী! আসলে এভাবে ভেবে দেখা হয়না। ডাক্তাররা কোন টেস্ট দিলে আগেই নেগেটিভ কিছু ধারণা চলে আসে। কিন্তু উন্নত রাষ্ট্র বা আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের বিখ্যাত হাসপাতালগুলোতেও কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোন চিকিৎসাই দেয়া হয় না।
    আমার জানামতে পদ্মা ক্লিনিকের পরীক্ষার রিপোর্ট ভাল, তবে আরও উন্নত মানের সার্ভিস নিয়ে ধারাবাহিক চেষ্টার আহ্বান রইল।

  2. ধন্যবাদ, ডাক্তাররা কোন টেস্ট দিলে আগেই ভিন্ন কিছু ধারণা চলে আসত। তথ্যসূত্রসহ বেশ ভাল এ লিখনী পড়ে ধারনার কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসল! এভাবে ভেবে দেখা হতোনা। তবুও আরও উন্নত মানের সার্ভিস নিয়ে ধারাবাহিক চেষ্টার আবেদন রইল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here